২৬ বছর বয়সী এক যুবক, যে কিনা এই বয়সে একজন সংগীতশিল্পী, সামাজিক উদ্যোক্তা এবং একজন মডেল। তার নাম হাসান খান। শৈশব থেকেই তার প্রভাবশালী কর্মজীবন তাকে এনে দিয়েছে সাফল্য, আজ তিনি সকলের কাছে পরিচিত। কারণ তার কঠোর পরিশ্রম,নিষ্ঠা, ধৈর্য। এখন তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিখ্যাত। 

ছোট বেলা থেকেই হাসান খান, নাত ও কবিতা আবৃত্তিতে পারদর্শী ছিলেন। কবিতা লেখার অভ্যাসও ছিল কিছুটা। শিশু কবি হিসাবে তার বেশ পরিচিতি ছিল। অভিনয়েও তিনি পিছিয়ে ছিলেন না। স্কুলের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে, রবীন্দ্র ও নজরুল জয়ন্তীতে তিনি অভিনয়, স্বরচিত কবিতা আবৃত্তিসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন। পারিবারিক অনুমতি না থাকায় তিনি এগুলো একরকম লুকিয়ে লুকিয়েই করতেন। এই ধরনের কর্মকাণ্ড শুধুমাত্র তার স্কুলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলনা। বাইরের অন্য কোন সংগঠনের সাথে তার জড়িত হবার সুযোগ ছিল না। এমনকি গান শোনা, কবিতার বই পড়া বা সাংস্কৃতিক চর্চার ক্ষেত্রেও ছিল প্রতিবন্ধকতা।

তিনি একজন মিউজিসিয়ান হিসেবে নিজের লেখা গান নিজেই সুর দিয়ে থাকেন। এছাড়াও বাদ্যযন্ত্রে আকর্ষনীয় সুর তৈরির জন্য দৈনিক অনুশীলন করে থাকেন। তার এ প্রতিভায় তার এলাকার মানুষ মুগ্ধ এবং তার এই প্রচেষ্টা এবং কার্যক্ষম দেখে সবাই তাকে সমাজের অলঙ্কার বলে মনে কারেন।

২০১৩ সালে এর নারায়ণগঞ্জের একটি বেসরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মেট্রিক পাশ করার পর তার নিজ জেলার কলেজেই ইন্টার এবং অনার্স কৃতিত্বের সাথে পাশ করেন।

তিনি বলেন “সময় আসবে, আবার চলে যাবে। কিন্তু যখন সে থাকবে, তখন তার কাছ থেকে তুমি যা চাইবে, তাই পাবে”।

যাই হোক, যুবকের পক্ষে প্রভাবক হওয়ার জন্য উড়ন্ত রঙে আসা খুব সহজ ছিল না,তিনি দাবি করেন। তিনি অনেক কিছু হারিয়েছেন যখন তিনি অল্প বয়সে বড় হওয়ার জন্য অনেক কিছু অর্জন করেছেন। তিনি তার দর্শকদের সেরা কিছু উপহার দিতে তার সমস্ত উদ্ভাবন এবং শক্তিপ্রয়োগ করেছেন বলে দাবি করেন।

 

দেখা যায় হাসান খান ইউটিউব, ফেসবুক, ডিজার্ট ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।তিনি তার নিজের সৃজনশীলতার ভিডিওর জন্য সবার কাছে খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তিনি অনেক জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্রভাবকদের সাথে সহযোগিতা করেছেন। যেখানে তার অনুসারীরা এবং অনুরাগীরা প্রতিনিয়ত তার প্রকাশিত সকল সংগিত দেখে ও শুনে থাকে থাকে এবং তার সফলতা দেখে দেশের অনেক যুবক যুবতী অনুপ্রানিত হয়ে তার মতো পরিশ্রমি এবং আত্মসংযমি এবং আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠছেন। এছাড়াও তিনি তরুণদেরকে নেশার জগত থেকে বিনোদনের মাধ্যমে কিভাবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা যায় সে নিয়েও কাজ করছেন।

হাসান খান বলেন ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে ভিউ বড় ফ্যাক্টর নয়। গানটা ভালো হওয়া খুব জরুরি। গান ভালো হলে সেটার একটা প্রশংসা আসেই। সব সময় প্রমাণও পেয়েছি। যদিও এখন একটা বাজে সংস্কৃতি শুরু হয়েছে, ভিউ দিয়ে শিল্পী বিচার করা। আমি একদমই তা করি না। তাই আমি মনে করি, গানের প্রতি মনোযোগটা রাখতে পারলে ভালো হয়।

এই অর্জন নিয়ে গর্বিত হাসান খান বলেন, ‘এটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশি হিসেবে আমার জন্য আনন্দের, গর্বের। ধারাবাহিকভাবে এটি অব্যাহত রাখা চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। কিন্তু আমি সেই ধারা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করে গেছি, যাচ্ছি। এটি সম্ভব হয়েছে, হচ্ছে শ্রোতা-দর্শকের গানের প্রতি বিশ্বাস, ভালোবাসা থেকে। শ্রোতা–দর্শক ছাড়াও গানগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গীতিকার, সুরকার, ভিডিও নির্মাতা, সিনেমার প্রযোজক–পরিচালক, নায়ক–নায়িকা—সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’